আবুল হাসান ইয়ামিন উদ-দিন খসরু (১২৫৩ - ১৩২৫) (হিন্দি: अमीर खुसरो, উর্দু: ابوالحسن یمینالدین خسرو); এক জন সুফি কবি। তিনি ফার্সি ও উর্দু দুই ভাষায় লিখেছিলেন। তিনি ছিলেন নিজামুদ্দিন আউলিয়ার আধ্যাত্মিক শিষ্য। ইনি কেবল কবি ছিলেন না, ছিলেন এক অনন্য গায়ক, তিনি প্রাচীনতম জ্ঞাত মুদ্রিত অভিধান ( খালীক-ই-বারি ) লিখেছিলেন। তাকে "কাওয়ালির জনক" বলে গণ্য করা হয়। তিনি প্রথম ভারত ও পাকিস্তানে গজল গানের প্রথা চালু করেন। তা আজ ও চলে আসছে।[২][৩] তিনি ফার্সি, আরবি এবং তুর্কি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কে সমৃদ্ধ তোলেন। খসরুকে কখনও কখনও "ভারতের কণ্ঠস্বর" বা "ভারতের তোতাপাখি" (তুতই-ই হিন্দ) এবং "উর্দু সাহিত্যের জনক" বলা হয়।[৪][৫][৬][৭]
তিনি উত্তর প্রদেশের পাতিয়ালা এ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল আমির সাইফ উদ-দিন মাহমুদ, একজন তুর্কি। তার মা ছিলেন এক রাজপুত কন্যা। তিনি প্রথম আট বছর বয়েসে প্রথম কবিতা লেখেন। ১২৭১ তার দিদা ১১৩ বছর বয়েসে মারা যাবার পর তিনি দুঃখিত হয়ে পড়েন। ১২৯৮ সালে তার মা ও ভাই মারা যান। এই ধাক্কাটি তার উপর বিভীষিকার মতো আছড়ে পড়ে। বলা হয় যে তাকে সঙ্গীত এই অবস্থা থেকে বেরতে সাহায্য করে। তিনি সুলতান বলবানের সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন। অত্যন্ত সম্মানিত রয়েল কোর্টের বিধানসভার আশ্রয়ে তিনি তার কবিতার দিকে মনোযোগ করেন। বলবানের পুত্র বুঘ্র খান তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে অসংখ্য সোনার কয়েন দিয়ে পুরস্কৃত করেন। তাকে তিনি বাংলার শাসনকর্তা বানান কিন্তু তিনি দিল্লি তে ফিরে আসেন। জালালুদ্দিন খিলজি ক্ষমতায় আসার পর তাকে "আমারত" উপাধিতে সম্মানিত করেন। তখন থেকেই তার নাম হয় " আমির খসরু "। পরে তিনি আলাউদ্দিন খিলজি ও তার পুত্র এর জন্য বেশ কিছু কবিতা ও গান লেখেন।
0 Comments