সর্বশেষ

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

আবু আব্দুল্লাহ হুসাইন ইবনে মানসুর আল-হাল্লাজ)

আল-হাল্লাজ এর জন্ম ইরানের ফারস্ প্রদেশে। উনার পিতা ছিলেন একজন সুতা-প্রস্তুতকারক (আরবী শব্দ হাল্লাজ অর্থাৎ "সুতা-প্রস্তুতকারক")।  তিনি প্রধানত তার চরম বিতর্কিত "আনাল হাক্ক" ("আমিই পরম সত্য") এই বক্তব্যের কারনে  মুসলিম জগতে পরিচিত। উনার পিতা ছিলেন একজন সুতা-প্রস্তুতকারক। শিশুবয়সেই তিনি আল কোরআনের হিফয করেন এবং অল্পবয়স থেকেই খেলাধুলা ইত্যাদি এড়িয়ে সুফিদের মজলিসে উঠাবসা করতেন।

অনেক সুফী-সাধক মনে করতেন যে সাধারন জনগনের কাছে মরমীবাদএর গুড়তত্ত্ব প্রকাশ করা অনুচিত, অথচ মানসুর হাল্লাজ তা প্রকাশ্যে তার লেখনি আর শিক্ষার ভিতর দিয়ে প্রকাশ করতেন। এভাবে উনি অনেক শত্রু তৈরী করেন. এই অবস্থার আরো অবনতি হয়, যখন তিনি বলতে লাগলেন যে তার ধ্যানকালীন অবস্থায় তিনি আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকেন।

একসময় ধ্যানরত অবস্থায়, তিনি উচ্চারণ করলেন أنا الحق("আনাল্ হাক্ক") "আমিই পরম সত্য". এর কারণে তত্কালীন সময়ে এই ধারণা গড়ে উঠে যে, তিনি খোদাত্ব দাবি করছেন। যেহেতু আল-হাক্ক বা "প্রকৃত সত্য" বা "চরম সত্য" মহান আল্লাহ তাআলার ৯৯টি নামের একটি নাম। আরেকটি চরম বিতর্কের তৈরী হয় যখন তিনি(মানসুর হাল্লাজ) দাবি করেন যে, "আমার পাগড়িতে শুধু খোদা ছাড়া আর কোনো কিছুই প্যাঁচানো নেই" এবং একই ভাবে তিনি তার জামার দিকে ইশারা করে বলেন যে, ما في جبتي إلا الله Mā fī jubbatī illā l-Lāh "আমার জামার ভিতরে খোদা ছাড়া আর কেউ নেই"।

এই ধরনের কথা উচ্চারণের কারণে তিনি লম্বা বিচারকার্যের সম্মুখীন হন এবং দীর্ঘ ১১ বছর বাগদাদ নগরে কারাবাস করেন. অবশেষে উনাকে ৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে মার্চ জনসমক্ষে তত্কালীন ফতোয়ার  সরকারি বিচারকদের নির্দেশে হত্যা করা হয়।

মানসুর হাল্লাজ গদ্য এবং পদ্য আকারে প্রচুর লেখালেখি করেন। উনার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো কিতাব আল-তাওয়াসিন (كتاب الطواسين), যেখানে দুটি সংক্ষিপ্ত অধ্যায় আল্লাহ-তাআলা এবং ইবলিশ-শয়তানের কথোপকথনের বর্ণনা আছে, যখন ইবলিশ হযরত আদম (আ:) কে সেজদা করতে অস্বীকার করে, অথচ তা ছিলো আল্লাহ তাআলার সরাসরি নির্দেশ। এই ব্যপারে মানসুর হাল্লাজ তার বইয়ে বলেন:[৫]

Post a Comment

0 Comments