বায়েজীদ রহমাতুল্লাহ-এর উপদেশ বাণীঃ আৱেফ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন
১. আরেফের বা কামেল লোকের চরিত্রে আল্লাহর গুণাবলী থাকবে।
২. ধ্যান ও এবাদত-বন্দেগীর তরবারি দিয়ে যিনি যাবতীয় কামনা-বাসনা কেটে ফেলেছেন, তিনিই খাটি আরেফ বা কামেল।
৩, আরেফের বা কামেল লোকের কাছে মারেফতের তুচ্ছ একটি বিন্দু জান্নাতের লক্ষ লক্ষ বালাখানা থেকেও মুল্যবান।
৪, আরেফ যখন নীরব, তখন তার ইচ্ছা হয় আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে। আর যখন তিনি মুদিত আঁখি, তখন তার ইচ্ছা হয় তার সঙ্গে দেখা করতে। যখন দু'হাঁটুর মাঝখানে মাথা রেখে তিনি চোখ বুজে থাকেন, তখন তিনি ভাবতে থাকেন, এখন ইস্রাফীল যদি শিঙায় ফুঁ দিতেন, তাহলে মাথা তুললে, মাবুদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হয়ে যেত। |
৫, আল্লাহ যেমন একা, সঙ্গীবিহীন। একা থাকেন আর একা থাকতে ভালােও বাসেন, তেমনি আরেফ বা কামেল লোকও মানুষের ভিড় পছন্দ করেন না। একা থাকতে ভালােবাসেন।
৬, আরেফকে বা কামেল লোককে কেউ প্রভাবিত করতে পারে না। কিন্তু সবই তার দ্বারা প্রভাবিত হয়।
৭, আরেফ বা কামেল লোক নিজেকে নির্বোধ মনে করেন। কিন্তু নির্বোধেরা নিজেদের আৱেফ বা বিজ্ঞ মনে করে।
৮, আরেফ বা কামেল লোক হল উড়ন্ত পাখী। আর যারা আরেফ নয়, তারা হল চতুষ্পদ প্রাণী।
৯, আরেফের বা কামেল লোকের অন্তর হল স্বচ্ছ কাচে ঘেরা বাতির মতাে। তার অত্যুজ্জ্বল আলােয় আলােকিত হয় আলমে আরওয়াহ।
১০, আরেফ বা কামেল লোক পানাহার করেন নিজের সঙ্গে, কেনাকাটা করেন নিজ থেকে। বিক্রি করেন নিজের নিকট। আবার নিজ থেকে তিনি দূরে সুদূরেও থাকেন। নিদ্রায় কিংবা জাগরণে তিনি আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই দেখেন না। আল্লাহ ছাড়া কারাে সঙ্গে তিনি মিলিতও হন না। আর নিজের মনের কথা আল্লাহ ছাড়া আর কারাে কাছে প্রকাশও করেন না।
১১. আরেফের বা কামেল লোকের জন্য যা অবশ্য পালনীয়, তা হল বিষয়-বিভব থেকে নিস্পৃহ থাকা। জান্নাতের ভরসা না করা ও জাহান্নামের পরােয়া না করা।
১২.যে নিজেকে নিজে আরেফ বলে, সে মূর্খ। আর যে নিজেকে মূর্খ বলে ঘােষণা করে, সে আরেফ বটে।
0 Comments