স্বীয় পীর ব্যতীত অন্য কোন পীরের প্রতি লক্ষ্য করিবে না।
পীর উপস্থিত থাকাকালীন তাঁহার অনুমতি ব্যতীত নফল এবাদত ও জেকেরাদিতে লিপ্ত হইবে না।
পীরের সম্মুখে অন্য কাহারও প্রতি মনােযোেগী হইবে না,
পূর্ণরূপে পীরের দিকে লক্ষ্য রাখিবে, এমনকি জেকের-এর খেয়ালও করিবে না।
কিন্তু তিনি আদেশ করিলে তখনই খেয়াল করিবে।।
৪. ফরজ, ছুন্নত ব্যতীত তাঁহার সম্মুখে অন্য কোন প্রকার নামাজ পাঠ করিবে না। যদি কোন ‘অজিফা ইত্যাদি থাকে তবে তাঁহার নিকট হইতে অন্যত্র সরিয়া যাইয়া পাঠ করিবে।
এমন স্থানে দাঁড়াইবে না যাহাতে তুমার ছায়া পীরের উপর বা তাঁহার ছায়ার উপর পতিত হয়।
পীরের জায়নামাজের উপর পা রাখিবে না।
পীরের অজুর স্থানে অজু করিবে না।
পীরের বিশিষ্ট কোনও ভাও ব্যবহার করিবে না।
পীরের সম্মুখে তাঁহার বিনা এজাজতে
(আদেশে) পানাহার করিবে না।
১০. পীরের সম্মুখে অন্য কাহারাে সহিত
কথাবার্তা বলিবে না এবং কাহারাে প্রতি লক্ষ্য করিবে না।
১১. পীরের অনুপস্থিতিকালে তিনি যে দিকে আছেন, সেইদিকে পা লম্বা করিয়া দিবে না এবং থুথু ফেলিবে না।
১২.
পীর যে কাৰ্য্য করিবেন তাহা দৃশ্যতঃ
ভুল মনে হইলেও তাহাকে ঠিক বলিয়া জানিবে। কারণ তিনি যাহা করেন তাহা। আল্লাহর নির্দেশে করিয়া থাকেন। তাহাতে কাহারও বলার কিছু নাই।
১৩.
ক্ষুদ্র বৃহৎ সকল বিষয়ে স্বীয় পীরের অনুকরণ করিবে।
আহার নিদ্রাই হউক। অথবা পােষাক-পরিচ্ছদই হউক | কিংবা নামাজ রােজাতেই হউক।
১৪। তিনি যে ভাবে নামাজ পাঠ করেন, সেই ভাবেই পাঠ করিতে হইবে।
১৫.
তাঁহার কার্য দৃষ্টে ‘ফেকাহের’ মছ-আলা শিখিতে হইবে।
১৬. তাঁহার কার্যকলাপ ও গতিবিধির প্রতি এতেরাজ বা সমালােচনা করিবে না যদিও উহা অতি সামান্য হয় না কেন। ইহাতে মহরুম ও পূর্ণ বঞ্চিত হওয়া ব্যতীত
কোনই ফল লাভ হইবে না।।
১৭. পীরের দোষ-ত্রুটি কখনও
অনুসন্ধান করিবে না। যেহেতু সৃষ্টির মধ্যে সকলের
চেয়ে বদবত ঐ ব্যক্তি যে অলী-আল্লাহগণের ছিদ্রান্বেষণ করে।
আল্লাহ রক্ষা করুন।
১৮, স্বীয় পীরের নিকট কখনাে ‘কারামত’ দেখিতে চাহিবে না। যেহেতু কোন মােমেন কোন পয়গম্বরের নিকট হইতে ‘কারামত’ দেখিতে চাহে নাই।
১৯. পীরের প্রতি যদি কখনাে কোন সন্দেহের উদ্রেক হয়,
তবে অবিলম্বে তাহা। তাঁহার নিকট ব্যক্ত করিবে। তিনি সমাধান করিয়া দিবেন।
যদি তাহাতে তাহার মনের তৃপ্তি না হয়, তবে নিজেরই ক্রটি জানিয়া ক্ষান্ত থাকিবে।
২০. স্বপ্নে যাহা কিছু পরিলক্ষিত হয়,
0 Comments