তােমার আত্মা মিশে আছে আমার আত্মায়
বিশুদ্ধ জল ও মদ- মিশে যায় যেমন করে।
আর তােমাকে যা স্পর্শ করে।
এই আমাকেও ছুঁয়ে যায় তা।
দ্যাখাে, সবকিছুতেই শুধু তুমি আর আমি।
আমিও এক টুকরাে মনসুর হাল্লাজ।
দুনিয়াকে ভেবে আমার বলাে কী কাজ!
আমিতাে স্বপ্নে তােমার আরশের কারুকাজ দেখি
তােমার নুরের তাজাল্লিতে দুচোখ করে মাখামাখি
রাখি তােমার করুণার বালিশে মাথা
অযথাই মােল্লা পুরােহিতের দল আমায় ভয় দেখায় কত
আমিতাে তােমাতে মিশে সারাতে চাই হৃদয়ের যত ক্ষত
আমিই ‘সে’ যাকে ভালােবাসি
আর যাকে ভালােবাসি, ‘সে’ই আমি:
আমরা দুটি আত্মা বাস করছি একদেহে।
তােমরা যদি আমার দিকে তাকাও,
তাকে দেখতে পাবে,
আর যদি তার দিকে তাকাও,
দেখতে পাবে আমাদের দুজনকেই।
তােমার আহ্বান উচ্চারিত হয় আমার ঠোঁটে,
তােমার ঠিকানা এই আমারই হৃদয়ে
তাহলে, কোথায় তুমি থাকো না বলােতাে?
আমার বিশ্বস্থ বন্ধুরা,
হত্যা করাে আমাকে।
কেননা, নিহত হবার ভেতরেই
নিহিত আছে আমার বেঁচে থাকা।
প্রেম সেটাই যখন তুমি দাঁড়িয়ে আছাে
তােমার কাঙিক্ষতের সামনে
যখন বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে।
তােমার সমুদয় নিজস্বতা;
তখন তার গুণাবলীই হয়ে ওঠে
তােমার প্রকৃত বৈশিষ্ট্য।
তােমার আর আমার মাঝখানে, শুধু আমি আছি।
আমিটাকে সরিয়ে নাও, তাহলেই শুধু তুমি থাকবে।
তােমার আহ্বান ধ্বনিত হচ্ছে আমার ঠোঁট-মারফত, আমার কলবে তােমার বাস তাহলে, কোন স্থান থাকতে পারে, যেখানে অনুপস্থিত তুমি?
ধোঁকা দিয়ে যায় বাস্তু পৃহিবী কোনাে কিছুই জানিনা আমি তার তাদ্র মত নিসিদ্ধ সব খােদ খােদাকে যারা মন্দ বলে।। আমিও তাদের সিদ্ধগুলােকে নিসিদ্ধ ভাবি দাক্ষিণ্য যখন বাড়িয়ে দেয় আমার দিকে আমি দেখে যায় কাঙালের মতাে তাদের রূপেই সাজায় যখন তারা আমাকে। যখন আমি তাদের অধিকারে ভীষণ বিষন্ন নিজের ভয়ে।
প্রণয়-সমুদ্রে আমি সাঁতার থামাচ্ছি না জেগে উঠছি ঢেউশীর্ষে, তারপর তলিয়ে যাচ্ছি এক্ষুণি ঢেউ আমাকে টিকিয়ে রাখছে, আর তার পরক্ষণেই ডুবে যাচ্ছি নিচে; প্রেম আমাকে সেখানেই বয়ে নিচ্ছে। যেখানে নেই কোনও সমুদ্রসৈকত।
১০. তােমার জন্যই আমি ত্বরিতে ছুটছি স্থল ও জলভাগের ওপর দিয়ে: তােমার জন্যই, পার হচ্ছি মরুভূমি আর দুভাগ করছি পাহাড়, আর সবকিছু থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছি মুখ, যতক্ষণ না সেই মােকামে পৌঁছানাের সময় হচ্ছে যেখানে তােমার সাথে আমার দিদার হবে একা।
১১. সত্যের সন্ধান পেতে ধর্ম পড়ি, আর খুঁজে পাই শাশ্বত শেকড় আমি অনেক অনেক সব ডালপালা তলে। সেই ভালাে, খুঁজে পাওয়া অবিশ্বাসে ডালপালার মাঝে হারানাের চেয়ে। সেই ভালাে, খুঁজে পাওয়া একক শেকড় সকল অর্থ ও একাত্মতা দিনের আলাের মত পষ্ট যেখানে।
১২.
তুমি ছাড়া কে আছে আমার ব্যাথাতুর হৃদয়ের সমব্যথী আমার ভয়ে আমার ধৈযে-তুমি ছাড়া নেই কেউ আর সেই ছুটে ছুটে যাওয়া-অর্থের নিগুঢ় কুঞ্জে সকল কবিতা আমার-হয়ে ওঠে হয়ে ওঠে ভুল করে যদি চাই কিছু তবু জেনাে আমার সমস্ত চাওয়া তুমি শুধু।
১৩. ও আমার দৃষ্টির লক্ষ্য আমার হৃদয়ের গােপন ভাবনার পৰ্বাবাপর্ব হে সম্পূর্ণিমা! যার পূর্ণতাকে ভালােবেসে আমার পূর্ণতা বিশাদকে আলিঙ্গন করে তুমি আমাকে বাসিয়া ভাল আমার হৃদয় মন্দিরে হয়েছে বন্দি হিংস্র পক্ষী নিমগ্ন দুখে-ভুলে-পথহারা এক বিরান মরুভূমে অন্ধের মত পথ চলা। নেশাতুর রহস্য নিয়ে বিদ্যুৎ গতিরঝলকে ছুয়ে যায় সব একি স্বপ্ন? মায়ায় ছুটে চলা-মাটির দেশে এ দয়া এ মায়া পরম গতির স্রোতে মগ্নতার গভীর সমুদ্রে-নিয়ে চিন্তাবিন্দু।
১৪. বারবার আমি লুকায় অপ্রকাশের হলাহলে লুকাই চাদের আলােয় টালমাটাল বিন্দুর জলে। লুকাই তিলের মাঝে বর্ণের অন্দরে যে অক্ষর লিখা আছে কপালে কপালে তমায় দেখে দেখে যাচ্ছি আমি এবং তুমি। আহা! না দেখে কিছু
0 Comments