সৃষ্টিকর্তা নিয়ে জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমির উক্তি:STEP:2
“যেখানেই আমি তাকাই প্রভু কেবল তােমাকে দেখতে পাই।
“যদি তুমি অন্তর জয় করতে চাও,তাহলে ভালােবাসার বীজ বুনাে।যদি তুমি জান্নাতে যেতে চাও,তাহলে অন্যের পথে কাটা বিছানাে বন্ধ করে দাও।'
জীবনের বােঝা গুলা হাসি মুখে স্বাচ্ছন্দ্য এ বয়ে যাও,কারন ধৈর্য ই হল এক মাত্র চাবি যা দিয়ে কেবল তুমি এটা জয়। করতে পারবে।
“যতক্ষণ পর্যন্ত আমার প্রাণ আছে আমি কোরআনের দাস। আমি মােহাম্মদের রাস্তার ধূলিকণা, নির্বাচিত ব্যক্তি। যদি কেউ আমার বলা বাণী ছাড়া অন্য কিছু আমার নামে চালায়, আমি তাকে ত্যাগ করব সেসকল শব্দের প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে।
“কখনাে দুঃখী হয়াে না।প্রভুই হতাশার মুহুর্তে আশা পাঠান।ভুলে যেয়াে না প্রবল বর্ষন সব সময় অন্ধকার মেঘ থেকেই আসে।'
“পাপ পুন্য এর ধারনা থেকে বহু দুরে হে প্রভু আমি তােমার দেখা পেলাম।
“মােহাম্মদের আলাে আরাে এক হাজার প্রশাখা হল(জ্ঞানের), এক হাজার, যাতে এখনকার জীবন এবং এর পরবর্তী জীবনে এটি সর্বশেষ সীমা পর্যন্ত কবলিত হয়। যদি মােহাম্মদের চেরা থেকে এরকম একটি শাখা খুলে, হাজারও ভিক্ষু এবং যাজক। তাদের মিথ্যাবিশ্বাসের দড়িকে তাদের কোমর থেকে ছিড়ে ফেলবে।
“আমি আমার দুই চোখকে বিরত রেখেছি এই পৃথিবী আর আখিরাতের অভিলাষ থেকে যা আমি মুহাম্মদ থেকে শিখেছি।'
শরণার্থী! পালিয়ে কোরানে আশ্রয় নাও যেখানে নবীদের আত্মা মিশেছে! নবীদের কথা কিতাবে বর্ণিত রয়েছে। মহিমার পবিত্র সমুদ্রের মাছ আমি যতদিন বেঁচে আছি আমি কোরানের দাস, মুহাম্মদ মুস্তাফার (সাঃ) পথের ধুলাে!!
“তােমার জীবনে যেই আসুক না কেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ হও! কারন অন্তরালে থেকে খােদা প্রত্যেককেই তােমার জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন।'
“স্রষ্টা তােমার অন্তরে আধ্যাত্মিক গােপন তত্ত্ব লিখে রাখেন, যেখানে তারামীরবে নিহিত থাকে আবিষ্কারের অপেক্ষায়।
“নীরবতাই আল্লাহর ভাষা, বাকি সবকিছু নেহাতই দুর্বল অনুবাদ!
এক জমানা ছােহবতে বা আউলিয়া। বেহতর আজ ছদ ছালা তা আত বেরিয়া
এক মুহুর্ত আউলিয়ায়ে কেরামের সহচার্য লাভ করা, শত বছরের ত্রুটিহীন এবাদত অপেক্ষা উত্তম।
“আমি আমার দুই চোখকে বিরত রেখেছি এই পৃথিবী আর আখিরাতের অভিলাষ থেকে যা আমি মুহাম্মদ থেকে শিখেছি।'
“কখনও ভেঙ্গে পড়না, কারন চরম হতাশার মধ্যেই প্রভু বেঁচে থাকার আশা প্রেরন করে থাকেন।
“যিনি সমস্ত গুপ্ত বিষয় জানেন, সর্বজ্ঞাতা.... তিনি এখানেই!!!
তােমার দেহের প্রধান রগ থেকেও নিকটে আছেন তিনি!!!
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমির উক্তি
“স্রষ্টার কাছে পৌঁছানাের অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।
“প্রতিটি মুহূর্তই সৃষ্টিকর্তারশত বার্তা বহন করে।
‘হে প্রভু'-বলে ক্রন্দনরত প্রতিটি ডাকের সাড়া দেন তিনি, শতবার বলে-এইতাে আমি।
“তুমি হচ্ছাে পাতা, অদৃশ্য বাতাসের দ্বারা বিক্ষিপ্ত; তুমি কি জানাে না যে তােমায় কী পরিচালিত করছে?”
“যে তার জ্ঞান দিয়ে মনের খারাপ ইচ্ছা গুলােকে জয় করতে পারে সে স্বর্গের ফেরেশতাদের থেকেও বেশি সম্মানিত বলে। বিবেচিত হয়।
“প্রভু! তুমি তাে সব জাগায় বিরাজমান,তবুও আমি তােমাকে পাগলের মত খুঁজছি।'
“সৃষ্টিকর্তার প্রেমে আপন আত্মা খুইয়ে দাও, বিশ্বাস কর; এ ব্যতীত কোন পথ নেই।'
"তুমি যদি প্রভুর দয়া চাও, তবে দুর্বলের প্রতি দয়ার হাত বাড়িয়ে দাও!
“অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনই বা আমি এত চিন্তায় মগ্ন হবাে যখন প্রভুর ভালবাসার স্বর্গীয় আলাে বর্তমানে জ্বলজ্বল। করছে!!
আল্লাহ আল্লাহ গােফতাে আল্লাহ মিশওয়াদ ইশখুনকার বাত্তর মরদম শাওয়াদ
আল্লাহ আল্লাহ জপতে জপতে মানুষই আল্লাহময় হয়ে যায়, এ কথা কি সাধারণ লােক বিশ্বাস করবে?
“হে প্রেম, হেমানস-পট, স্বর্গ-পথের সন্ধানে যাও স্রষ্টার ক্ষেত্র সন্ধানে রত হও।
“হাতুড়ে ডাক্তারে জীবন হারানাের আশংকা, আর হাতুড়ে মােল্লায় ঈমান হারানাের আশংকা থাকে।
"চিনি বেশী সুমিষ্ট, না যিনি চিনির স্রষ্টা? চাঁদ বা তার আলাে বেশী সুন্দর, না যিনি চাঁদের স্রষ্টা? পড়ে থাকুক চাঁদ ও চিনির মত ক্ষুদ্র বিষয় মহান আল্লাহ জানেন সব বিষয়-আশয় সব কিছুর তিনিই স্রষ্টা!!
“ঈশ্বরের প্রেমে তােমার আত্মাকে উৎসর্গ কর।শপথ করে বলছি তা ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই।'
“হে আকৃতির পূজারী! তুমি আর কতকাল বাহ্যিক আকৃতির পূজা করবে? অথচ বাহ্যিক আকৃতির পূজার জন্য তােমার অর্থহীন নির্বোধ প্রাণ বাহ্যিক আকৃতির কল্পনা বাহ্যিক আকৃতির দাসত্ব থেকে মুক্তি পায় নি।
“অন্বেষণকারীদের পথে জ্ঞানী- মূর্খ সব একই। তাঁর ভালােবাসায় পরিচিত-অপরিচিত সব একই। এগিয়ে যাও! ভালােবাসার অমৃত সুধা পান করাে। সে বিশ্বাসে, মুসলিম-পৌত্তলিক সব একই।
“নীরবতাই আল্লাহর ভাষা, বাকি সবকিছু নেহাতই দুর্বল অনুবাদ!
“এখন তুমি চুপ করে থাকো ! ভেতরে যে কথা বলতে চায়, তাকে কথা বলতে দাও। তিনি দরজা সৃষ্টি করেছেন, দরজার তালাও তৈরি করেছেন এবং এটা খােলার চাবিও তিনিই তৈরি করেছেন।
“আপনা থেকে বিমুখ হয়ােনা। স্রষ্টা অবশ্যই তােমার সাথে রয়েছেন।
“স্রষ্টা তােমার অন্তরে আধ্যাত্মিক গােপন তত্ত্ব লিখে রাখেন, যেখানে তারামীরবে নিহিত থাকে আবিষ্কারের অপেক্ষায়।
“মহানবী মুস্তাফা (সাঃ) আল্লাহর নুরের তাজাল্লী দর্শনের আয়না স্বরূপ। আরও
0 Comments