“শরণার্থী! পালিয়ে কোরানে আশ্রয় নাও যেখানে নবীদের আত্মা মিশেছে! নবীদের কথা কিতাবে বর্ণিত রয়েছে মহিমার পবিত্র সমুদ্রের মাছ আমি যতদিন বেঁচে আছি। আমি কোরানের দাস, মুহাম্মদ মুস্তাফার (সাঃ) পথের ধুলাে!!
“অহম হলাে মানুষ ও স্রষ্টার মধ্যবর্তী পর্দা।
“গন্তব্যস্থান নাইবা থাকল, তুমি চলতে থাকো দূরত্ব অতিক্রম করে দেখার চেষ্টা কোরাে না। ওটা তাে মানুষের কাজ নয়। ভেতরে চলাফেরা কর কিন্তু এমনভাবে নয় যেন ভয় তােমাকে চালাচ্ছে। সুফিদেরকথা মুহূর্তের মধ্যে বাস কর। ঈশা (দ.) বলতেন, 'আগামীকালের কথা ভেবাে না'।
“তুমি ঘুমন্ত অথবা জাগ্রত, লেখাে কিংবা পড়, যাই করাে না কেন, একমুহূর্তও খােদা কে স্মরণ না করে থেকো না!!!!
“কয় দিনই বা এই বাড়িতে আমরা থাকবাে ??? ৷ এখানে আমরা সবাই প্রভুর অতিথিতি হয়ে রয়েছি।'
“প্রভু আমি তােমার উপস্থিতি আমার অন্তরে খুঁজে পাই যদিও তুমি বিশ্বের সব জাগায় বিরাজমান।
চশমে রওশন কুন যে যাকে আউলিয়া
তা বধিনি এবতেদাতা এন্দেহা
তুমি যদি আউলিয়া কেরামের পদধূলি দ্বারা। স্বয়ং চক্ষুকে জ্যোতিময় কর, তবে তুমি আদি ও
অন্য সব কিছু দেখতে সক্ষম হবে।
“অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনই বা আমি এত চিন্তায় মগ্ন হবাে , যখন প্রভুর ভালবাসার স্বর্গীয় আলাে বর্তমানে জ্বল জ্বল করছে।'
"তুমি সব জাগায় বিরাজমান,তবুও আমি তােমাকে পাগলের মত খুজতেছি।'
“প্রভুকে পাবার অনেক পথ আছে, আমি ভালবাসার পথকে এর জন্য বেঁছে নিয়েছি।'
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমির উক্তি
“কেন তুমি প্রভুকে খুঁজতে প্রত্যেক দরজায় দরজায় গিয়ে আঘাত করছ?? যাও নিজের অন্তরের দরজায় গিয়ে আঘাত কর।
একটা নিঃশ্বাস বাকি থাকতেও যদি তুমি আমার কাছে ফিরে আসাে তাহলেও আমি সদা প্রভু তােমাকে স্বাগত জানাব।'
বাস্তবে আমার আর তােমার আত্মা একই তুমি আমার মাঝে আছে আর আমি তােমার মাঝে,আমরা একজন আরেকজনের মাঝে পরস্পর লুকিয়ে আছি।'
“এমন এক সময় আসবে যখন প্রভুর ভালবাসায় মগ্ন হওয়া ছাড়া সবকিছুই তােমার কাছে অর্থহীন মনে হবে।
“যে তার জ্ঞান দিয়ে মনের খারাপ ইচ্ছা গুলােকে জয় করতে পারে সে স্বর্গের ফেরেশতাদের থেকেও বেশি সম্মানিত বলে বিবেচিত হয়।
“প্রকৃতির প্রতিটা জিনিস বসন্তে ভালােভাবে প্রকাশিত হয়,আবার শীতে তা ঝরে যায় কিন্তু প্রভুর স্বর্গীয় ভালােবাসা কোন নির্দিষ্ট ঋতুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
“তােমার অন্তরের যে কেন্দ্রবিন্দুতে প্রানরুপী ঈশ্বর থাকেন,সেটাই হল এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।
“সব সময় সতর্ক থাক।কারন প্রভুর লীলা খেলার সৌন্দর্য মাঝে মাঝে হটাৎ করে দেখা যায়। এটা কোন রকম সতর্কবানি ছাড়াই স্বচ্ছ হৃদয়ে অবতরন করে থাকে।
“যে শরীয়তকে তােমরা মহা জ্ঞানের ভাণ্ডার মনে করে থাক,তাকে আমি অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি শরীয়তের জ্ঞানের আমার কোণই অভাব ছিল না।কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছি যে সেই জ্ঞান দ্বারা আমি প্রকৃত জ্ঞানী ছিলাম না,বরং ছিলাম একটা আস্ত পাগল।
“শরীয়তের আলেমরা হাজারাে জ্ঞানের প্রতিভা রাখেকিন্তু নিজের পায়ে কুঠার আঘাতকারি দুষিত আত্মা সম্পর্কে কোন।
0 Comments