আল্লাহকে যারা পেয়েছেন, তাঁরা জান্নাতের শােভা বর্ধন করেন ঠিকই। কিন্তু জান্নাত তাদের জন্য এক আযাব ছাড়া অন্য কিছু নয়।
গৌরব ও মর্যাদার লােভে যে বিদ্যালাভ করে তার থেকে দূরে থাক। কেননা, প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর রহমত তার পেছনে দূরে সরে যায়।
মানুষ যদি নিজেকে নিজে চিনতে পারত তাহলে কত যে ভালাে হত!
নিজেকে নিজে চিনতে পারলে পূর্ণ মারেফত অর্জিত হয়।
দুনিয়ার এমন কী মহিমা আছে যে, মানুষ তাকে ভুলতে পারে না?
আল্লাহর প্রেমিক যারা, দুনিয়াকে ভুলে যাওয়া তাদের পক্ষে মােটেই কঠিন নয়।
যারা আল্লাহকে চেনে না, আগুন তাদের শাস্তি দেয়। কিন্তু যারা চেনে,
আগুনের পক্ষে তারা অসহ্য।
যে আল্লাহকে চিনেছে, কারাে কাছে তার কিছু চাইবার নেই।
কিন্তু যে আল্লাহকে চেনেনি, সে অপরের মুখাপেক্ষী এবং মর্যাদাহীন।
পার্থিব সম্পদের প্রতি (লােভ করলেও) আকৃষ্ট হতে নেই।
দুঃখ-দুর্দশায় হতাশ হতে নেই।
কেননা, আল্লাহর সামান্যতম নির্দেশে তা দূর হতে পারে।
রিপুর বাসনা যে ত্যাগ করেছে, সে আল্লাহকে পেয়েছে।
আর যে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছে, সব কিছু তার নাগালে এসে গেছে। |
আল্লাহ তাঁর প্রিয়জনদের তিনটি স্বভাব দান করেন। যেমন(১) সমুদ্রতুল্য বদান্যতা, (২) সূর্যসম উদারতা ও (৩) ভূততুল্য নম্রতা।
আল্লাহ যাকে যােগ্য ও উপযুক্ত মনে করেন, তার পেছনে এক ফেরাউন লাগিয়ে দেন।
মুসলমান হয়ে মুসলমানের ক্ষতি করা কঠিন পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার চেয়েও মারাত্মক।
মানুষের মনােভাব এরূপ হতে হবে যে, আমার মতাে খারাপ আর কেউ নেই।
আমার কোন মূল্যই নেই। এ ধরনের মনােভাব ত্যাগ-তিতিক্ষা, জ্ঞানার্জন ও পুণ্যচর্চা
থেকেও উত্তম।
পূর্ণ মাত্রায় প্রয়াস ও প্রযত্ন করে আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা রাখতে হবে।
সৎ-সংসর্গ সৎ-কার্য থেকে উত্তম। আর কু-সংসর্গ -কুকার্য থেকে নিকৃষ্ট।
জ্ঞান অর্জন করতে হবে জ্ঞানী ব্যক্তির কাছ থেকে। |
0 Comments