আমি নিজেকে আমার প্রভুর মধ্যে বিলীন করে দিয়ে দেখতে পেলাম, সৃষ্টির সকল বস্তু আমার অস্তিত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ।
আমি পৃথিবীকে তিন তালাক দিয়ে সম্পূর্ণ একা হয়ে বলতে শুরু করলাম,হে আমার প্রতিপালক! আপনি ছাড়া আমার আর কেউ নেই। তবে আপনি যখন আমার, তখন সব কিছুই আমার।
দেখলাম, সবাই নিজ নিজ কাজে মশগুল।
কিন্তু আমি শুধু আল্লাহ পাকের করুণা সাগরে সাঁতার কাটছি।
রিপুর বাসনা যে ত্যাগ করেছে, সে আল্লাহকে পেয়েছে।
আর যে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছে, সব কিছু তার নাগালে এসে গেছে। |
মানুষ মরণশীল মানুষের কাছ থেকে জ্ঞান লাভ করেছে। কিন্তু আমি জ্ঞান
লাভ করেছি স্বয়ং আল্লাহর কাছ থেকে, যিনি চিরঞ্জীব, যার কখনও মৃত্যু নেই।
আমি যখন আমার প্রবৃত্তিকে আল্লাহর দিকে নিতে চাইলাম,
আর সে তা প্রত্যাখ্যান করল, তখন আমি একাই আল্লাহর দরবারে হাজির হলাম।
দুনিয়ার আলােড়ন ও নীরবতা সবই আল্লাহর কাছ থেকে এ কথা অন্তরে
উপলব্ধি করার নামই হল মারেফত।
আমার মনে আল্লাহর সঙ্গে প্রেম করার ইচ্ছার উদয় হল।
কিন্তু পরে চিন্তা-ভাবনা করে দেখলাম, আমার প্রতি তার প্রেম তাে অনেক
আগে থেকেই রয়েছে।
অনুভব করলাম, যারা আল্লাহর আদেশ পালন করেছে,
তারা তার পুরস্কার লাভ করেছে ও পুরস্কারের প্রতি আসক্ত হয়েছে।
কিন্তু আমি আল্লাহ ছাড়া কোন কিছুতেই আসক্ত হইনি।
আমি যখন আল্লাহর দরবারে সম্পূর্ণ খাটি বলে বিবেচিত হলাম,
তখন তিনি আমাকে প্রথমে এই নেয়ামত দান করলেন যে,
আমার মধ্যে যা কিছু কালিমা ও কলুষতা ছিল তা ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিলেন।
যে শিষ্য চীৎকার করে, হা-হুতাশ করে, সে একটি ক্ষুদ্র কুপ সদৃশ।
আর যে মৌনতাবলম্বন করে সে রত্ন-গর্ভ সমুদ্রের ন্যায় ।
আর আল্লাহ পাকের এই অফুরন্ত করুণার ফলে আমার মানসিকতা ও অনুভূতির পরিবর্তন ঘটল।
আমি ভেবে দেখেছিলাম, আমার শাস্তি পাওয়ার মূলে কোন বস্তু?
তা আলস্য বা শৈথিল্য ছাড়া আর কিছু নয়।
0 Comments