সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ইমাম গাযযালী (রহঃ)

 যখন সুফিসাধনায় মনোনিবেশ করলাম তখন দেখতে পেলাম যে একমাত্র সুফিগনই হক পথে প্রতিষ্ঠিত আছে ।দীর্ঘদশ বছর কৃছ্র সাধনার মাধ্যনে আমি সন্দেহাতীতভাবে এ সত্যটি উপলব্ধি করেছি যে , সুফি মন্ডলীই আল্লাহর একনিষ্ট সাধক,আল্লাহর পথের যথার্থ পথিক,তাদের তরিকাই হলো সবচেয়ে নিখুত তরিকা।তাদের নৈতিক চরিত্র মানবকুল শ্রেষ্ঠ জীবনধারা,অতি সচ্ছ এবং তারা নিখুত ও উন্নত নৈতিকতার অধিকারী ,তাদের নৈতিকতা ও চরিত্র এতই বলিষ্ঠ ও উচ্চমানের যে,সমস্ত দর্শন বিজ্ঞান ও শরীয়তবেত্তাদের যাবতীয় জ্ঞান গরিমার সমন্বয় করেও এর মোকাবেলা করা যাবে না।অনুরূপ বলিষ্ঠ চরিত্র কাঠামো রচনা করা সম্ভবপর হবে না।কারন আধ্যাত্নিক এবং জাগতিক নির্বিশেষে তাদের প্রত্যেকটি কাজ নুরে নবুয়তের দ্বারা স্নাত।এ নুরে নবুয়তকে বাদ দিলে আর কি আছে যা দ্বারা প্রকৃত সত্যের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

ফানাফিল্লাহ আধ্যাত্নিক উৎকর্ষতার সর্ব্বোচ্চ স্তর এতে সন্দেহ নেই।তবে তা কৃচ্ছ্রতা সাধনার পরিনতির দিক থেকে ,অন্যথায় এটাই আধ্যাত্নিকতার প্রথম সোপান,এর পুর্বে যা কিছু করা হয়,সবই এর প্রস্তুতি পর্বে গন্য। ফানাফিল্লাহ থেকে দিব্যজ্ঞান ও দিব্য দৃষ্টির উন্মেষ ঘটে।
সুফিগন এ সোপানে অনুপ্রবেশ করেই ধ্যানের(মোরাকাবা) মাধ্যমে ফেরেশতা ও নবীদের আত্নার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন,তাদের কথা শোনেন এবং তাদের সাহায্যে প্রকৃত জ্ঞান আধ্যাত্নিকতার সন্ধান পান।শুধু তাই নয়, তাদের নৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং সৃষ্টি ও বস্তুজগতের উর্ধ্বে তারা এমন একটি জগতের সন্ধান পান ,যার অবস্তা ও প্রভাব ভাষায় বর্ননা করা যায় না।তা বর্ননার চেষ্টা করলে ত্রুটি বিচ্যুতি না হয়ে উপায় নেই।তাছাড়া সান্নিধ্য ও মিলনের বর্ননা ভঙ্গি বিশেষজ্ঞগনের একান্ত নিজস্ব।

 কেউ বলেন | এর অর্থ, আত্মার সাথে পরমাত্মায় মিলন। আর কারাে মতে এ হলাে, আত্মার পরমাত্মায় উপনীত হওয়া। প্রকৃতপক্ষে এ মতবাদগুলাে গবেষণা করেছি। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা এই যে, যারা এসব গূঢ় রহস্যের সাথে পরিচিত হয়েছেন, তাদের এই অধিক কিছুই বলা উচিত নয় যে, যা হওয়ার তা-ই হয়েছে, বর্ণনা করার নয়। এতটুকুই জেনে রাখা ভাল যে, ভালই হয়েছে, এর | বেশি অনুসন্ধান করে কোন উপকার হবে না।


মোটকথা, যে ব্যক্তি তাসাউফের আলো পায়নি, সে নবুয়তের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে সম্পুর্ন অক্ষম।মুর্খরাই সুফিবাদের বিবৃত তত্ত্ব ও তথ্যকে অস্বীকার করে এবং তা নিয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসে।

Post a Comment

0 Comments